পৌর এলাকায় বাড়ছে উদ্বিগ্নতা , কুকুরের মৃত‍্যু মিছিল অব‍্যাহত : ময়নাতদন্ত এর রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় পৌরসভা

20th February 2021 12:27 pm বাঁকুড়া
পৌর এলাকায় বাড়ছে উদ্বিগ্নতা , কুকুরের মৃত‍্যু মিছিল অব‍্যাহত : ময়নাতদন্ত এর রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় পৌরসভা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : ধারাবাহিকভাবে পথের কুকুরের মৃত্যু হচ্ছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে ।  করোনাকালে মানুষ সাক্ষী থেকেছিল একের পর এক তরতাজা প্রাণ করোনার করালগ্রাসের শিকার হচ্ছিল ।  এবার করোনা কিছুটা স্থিতিশীল হবার পর বিষ্ণুপুরে আবার নতুন আতঙ্ক ছড়িয়েছে । দিনের পর দিন পথ কুকুরের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে । আজ আবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ৪৫ টি কুকুরের মৃত্যু ঘটেছে । গত পাঁচ দিনে কুকুরের মৃত্যু হল তিন শতাধিক ।
পুরসভা সুত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার ৬০ টি, বুধবার ৮৩ টি ও বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ টি এবং শুক্রবার ১০৩ টি কুকুর মারা গেছে । সবমিলিয়ে মোট ৩২৬ টি পথ কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিষ্ণুপুরের প্রাণী চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা কেনাইন ডিসটেম্পার রোগের কারণে এই মৃত্যু ঘটতে পারে । এই রোগের লক্ষণ জ্বর, বমি, পায়খানা সাধারনত কুকুরের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই রোগটি । তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না । ময়নাতদন্তের জন‍্য ইতিমধ‍্যেই কলকাতায় পাঠানো হয়েছে নমুনা । রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পৌর প্রশাসক জানিয়েছেন । এত সংখ‍্যক কুকুরের মৃত‍্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পৌরবাসীর মধ‍্যে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।